ইহরাম বাঁধার নিয়ম
শরীর পরিষ্কার করে ইহরামের উদ্দেশ্যে গোসল করে পুরুষগণ ইহরামের একটি কাপড় লুঙ্গি হিসাবে পড়বেন আরেকটি চাদরের মত গায়ে দিবেন যেন উভয় কাঁধ ঢাকা থাকে।
২ ফিতার স্যান্ডেল পড়বেন। মহিলাগণ স্বাভাবিক সেলোয়ার কামিস ও নেকাব বাঁধবেন। (বিস্তারিত অন্য বড় বইতে দেখে নিবেন) এরপর ইহরামের দু’ রাকাআ’ত সুন্নাত নামায পড়বেন মাথায় টুপি দিয়ে।
নামাযের নিয়ত হবে এভাবে ‘হে আল্লাহ! আমি ইহরামের দুই রাকাআত সুন্নাত নামায আদায়ের নিয়ত করছি।’
১ম রাকাআ’তে সূরা ফাতিহার সাথে সূরা কাফিরুন ও ২য় রাকাআতে সূরা ফাতিহার সাথে সূরা ইখলাছ পড়বেন। নামাযের সালাম ফিরিয়েই সাথে সাথে টুপি খুলে ওমরাহর বা হজ্জের নিয়ত করে তালবিয়া পড়ে ইহরাম বাঁধবেন-
হজ্জে তামাত্তো বা ওমরার নিয়ত
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اُرِيْدُ الْعُمْرَةَ فَيًسِّرْهَا لِيْ وَتَقَبَّلْهَا مِنِّيْ
“হে আল্লাহ! আমি ওমরাহর নিয়ত করতেছি। তুমি উহা আমার জন্য সহজ করে দাও এবং কবুল করে নাও।”
এ নিয়ত পড়ার পরপরই পুরুষগণ উচ্চস্বরে আর মহিলাগণ নিচু স্বরে তিনবার তালবিয়া পাঠ করবেন:
তালবিয়া
لَبَّيْكَ اللّٰهُمَّ لَبَّيْكْ
لَبَّيْكَ لاَ شَرِيْكَ لَكَ لَبَّيْكَ
اِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ
لاَ شَرِيْكَ لَكَ
উচ্চারণ: লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক্, লাব্বাইকা লা-শারীকা লাকা লাব্বাইক্, ইন্নাল-হামদা ওয়াঁননি‘মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা-শারীকা লাক্।
অর্থ: আমি হাজির, হে আল্লাহ! আমি হাজির, আমি হাজির, কোন শরীক নাই তোমার, আমি হাজির। নিশ্চয়ই সকল প্রশংসা ও নিয়ামত তোমারই, আর সকল সাম্রাজ্য তোমারই, কোন শরীক নাই তোমার।
হজ্জে তামাত্তু পালনকারীর হজ্জের নিয়ত
হজ্জে তামাত্তু পালনকারীগণ হজ্জের উদ্দেশ্যে যখন ৮ জিলহজ্জ মিনায় যাবেন তখন হজ্জের ইহরাম বাঁধবেন নিচের নিয়তটি করে-
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اُرِيْدُ الْحَجَّ فَيَسِّرْهُ لِيْ وَتَقَبَّلْهُ مِنِّيْ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নী উরীদুল হাজ্জা ফায়াসসিরহুলী ওয়া তাকাব্বালহু মিন্নী।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি হজ্জের নিয়ত করতেছি। তুমি উহা আমার জন্য সহজ করে দাও এবং কবুল করে নাও।”
হজ্জে এফরাদ বা ওমরা ব্যতীত কেবল হজ্জের নিয়ত
এফরাদ হজ্জ অথবা তামাত্তো হজ্বযাত্রীগণ হজ্জের ইহরাম পরিধান করার পর এ নিয়তটি করবেন।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اُرِيْدُ الْحَجَّ فَيًسِّرْهُ لِيْ وَتَقَبَّلْهُ مِنِّيْ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নী উরীদুল হাজ্জা ফায়াসসিরহুলী ওয়া তাকাব্বালহু মিন্নী।
অর্থ: “হে আল্লাহ! আমি নিশ্চয় হজ্জের আকাঙ্খা করি, তুমি উহা আমার জন্য তা সহজ কর ও আমার পক্ষ থেকে কবুল কর।”
হজ্জে ক্বিরানের নিয়ত
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اُرِيْدُ الْعُمْرَةَ وَالْحَجَّ فَيَسِّرْهُمَا لِيْ وَتَقَبَّلْهُمَا مِنِّيْ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নী উরীদুল উমরাতা ওয়াল হাজ্জা ফায়াসসিরহুমা লী ওয়াতাকাব্বালহুমা মিন্নি।
অর্থ: “হে আল্লাহ! আমি নিশ্চয় ওমরা ও হজ্জের আকাঙ্খা করি, তুমি উভয়টাকে আমার জন্য সহজ কর ও আমার পক্ষ থেকে কবুল কর।”
হজ্জের সংক্ষিপ্ত নিয়ত
উপরিউক্ত বড় নিয়ত করতে না পারলে নিচের সংক্ষিপ্ত নিয়ত করা যাবে।
হজ্জে তামাত্তো বা ওমরাহর নিয়ত সংক্ষেপে
اللّٰهُمَّ لَبَّيْكَ بِا الْعُمْرَةِ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা লাব্বাইকা বিল উ‘মরাতি।
অর্থ: হে আল্লাহ আমি ওমরাহর জন্য তোমার দরবারে হাজির।
হজ্জে তামাত্তো পালনকারীর সংক্ষেপে হজ্জের নিয়ত
اللّٰهُمَّ لَبَّيْكَ بِاالْحَجِّ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা লাব্বাইকা বিল হাজ্জি।
অর্থ: হে আল্লাহ আমি হজ্জের জন্য তোমার দরবারে হাজির।
হজ্জে এফরাদের নিয়ত সংক্ষেপে
اللّٰهُمَّ لَبَّيْكَ بِاالْحَجِّ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা লাব্বাইকা বিল হাজ্জি।
অর্থ: হে আল্লাহ আমি হজ্জের জন্য তোমার দরবারে হাজির।
হজ্জে ক্বিরানের নিয়ত সংক্ষেপে
اللّٰهُمَّ لَبَّيْكَ بِا الْعُمْرَةِ وَالْحَجِّ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা লাব্বাইকা বিল উ‘মরাতি ওয়াল হাজ্জি।
অর্থ: হে আল্লাহ আমি হজ্জ ও ওমরাহর জন্য তোমার দরবারে হাজির।
হজ্জে বদল (বদলী হজ্জ) এর নিয়ত
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اُرِيْدُ الْحَجَّ مِنْ ………… بِنْ ……….. فَيَسِّرْهُ لِيْ وَتَقَبَّلْهُ مِنْهُ وَ مِنَّا
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি উরিদুল হাজ্জা মিন………….বিন…………. ফায়াসসিরহুলী ওয়া তাকাব্বালহু মিনহু ওয়া মিন্না।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি………. (যার জন্য বদল হজ্জ তার নাম ও পিতার নাম অমুকের পুত্র অমুকের) পক্ষ হতে বদলী হজ্জ করতে ইচ্ছা করি, বস্তুত এ কাজ আমার জন্য সহজ কর এবং তার ও আমাদের পক্ষ থেকে কবুল কর।